<p> কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার উত্তর মুমুরদিয়া গ্রামের রিকশাচালকের মেয়ে তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী মসজিদে আরবি পড়তে গিয়ে ইমাম কর্তৃক ধর্ষিত হয়েছেন। এ ঘটনার পর এলাকাবাসী জয়নাল আবেদীন (৩৫) নামে ওই লম্পট ইমামকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে। ভিকটিমের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে সে জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।<br /> <br /> ধর্ষিতা ও তার মায়ের বক্তব্য থেকে জানা যায়, মেয়েটি এলাকার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ে। স্কুলে যাওয়ার আগে প্রতিদিন সকালে এলাকার অন্য শিশুদের সঙ্গে সেও গ্রামের মসজিদে ইমামের কাছে আরবি পড়তে যায়। আজ সোমবার সকালেও অন্য শিশুদের সঙ্গে মেয়েটি আরবি পড়তে যায়। পড়াশেষে সবাইকে ছুটি দিলেও শিশুটিকে ছবক নেবেন (পড়া ধরবেন) বলে ইমাম জয়নাল আবেদীন তাকে বসতে বলে। অন্য শিশুরা চলে যাওয়ার পর মসজিদের দরজা বন্ধ করে লম্পট ইমাম তাকে ধর্ষণ করে। মেয়েটি চিৎকার করতে থাকলে তার মুখে কাপড় চাপা দিয়ে তাকে ধর্ষণ করে জয়নাল আবেদীন। এক পর্যায়ে ধর্ষণের কথা কারো কাছে বললে তাকে মেরে ফেলা হবে বলে ওই ইমাম শিশুটিকে শাসিয়ে বিদায় দেয়। এরপরে মেয়েটি কাঁদতে কাঁদতে বাড়িতে গিয়ে তার মা ও খালার কাছে ঘটনার বিবরণ দেয়। ইমামও পেছন পেছন গিয়ে ঘরের আড়ালে দাঁড়িয়ে মেয়েকে নালিশ করতে শুনেই মেয়ের মায়ের পায়ে পড়ে ক্ষমা চাইতে থাকেন বলে শিশুটির মা জানিয়েছেন।<br /> <br /> জানা গেছে, ধর্ষক জয়নাল তিন সন্তানের জনক এবং তিনি একই এলাকার আব্দুল বাতেনের জামাতা। মুমুরদিয়া গ্রামের মসজিদে জয়নাল প্রায় ১২ বছর ধরে ইমামতি করেন।<br /> <br /> এ ব্যাপারে ধর্ষিতার পিতা জানান, ইমাম জয়নালকে এলাকাবাসী আটক করে কটিয়াদী থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে তাকে নিয়ে গেছে। মামলা দায়েরের ব্যাপারে এলাকাবাসী মুমুরদিয়া ইউপি চেয়ারম্যানের পরামর্শের জন্য অপেক্ষা করছেন বলে জানান তিনি।<br /> <br /> ইমাম জয়নালের গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে কটিয়াদী থানার ওসি হেদায়েতুল ইসলাম ভূঁইয়া জানান, মেয়েটির চিকিৎসা নিয়ে তার স্বজনরা ব্যস্ত থাকায় আজ সোমবার বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত তারা থানায় মামলা করতে আসেননি।</p>