<p>২০১৮ সালে বিশ্ব পর্যটক আগমনে প্রবৃদ্ধি হয় ৬ শতাংশ। জাতিসংঘের পর্যটন সংস্থা ইউএনডাব্লিউটিওর বিশ্ব পর্যটন ব্যারোমিটার অনুযায়ী গত বছর আন্তর্জাতিক পর্যটন আগমন হয় রেকর্ড ১৪০ কোটি। সংস্থার ২০১০ সালের এক পূর্বাভাসে বলা হয়েছিল ২০২০ সাল নাগাদ আন্তর্জাতিক পর্যটক আগমন ১৪০ কোটিতে পৌঁছাবে। কিন্তু সেই মাইলফলক দুই বছর আগেই অতিক্রম হলো।</p> <p>ইউএনডাব্লিউটিওর মতে, পর্যটক আগমনে যে প্রবৃদ্ধি হয়েছে তা বৈশ্বিক ডিজিপি প্রবৃদ্ধির প্রায় দ্বিগুণ। গত বছর জিডিপি প্রবৃদ্ধি হয় ৩.৭ শতাংশ। ২০১৮ সালে মধ্যপ্রাচ্যে পর্যটক আগমনে প্রবৃদ্ধি হয় ১০ শতাংশ, আফ্রিকায় ৭ শতাংশ, এশিয়া-প্যাসিফিক ও ইউরোপে ৬ শতাংশ করে এবং আমেরিকায় প্রবৃদ্ধি হয় ৩ শতাংশ।</p> <p>বিশ্বে অর্থনীতিতে জোরালো প্রবৃদ্ধি, বিমান ভ্রমণ সহজলভ্য হওয়া, প্রযুক্তিগত উন্নয়ন, নতুন ব্যাবসায়িক মডেল এবং বিশ্বের অনেক দেশে ব্যবসা সহজীকরণ হওয়ায় সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিশ্বজুড়ে পর্যটক আগমন বেড়েছে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়। এশিয়া ও প্যাসিফিক অঞ্চলে গত বছর আন্তর্জাতিক পর্যটক আগমন বাড়ে ৬ শতাংশ। পর্যটক আসে রেকর্ড ৩৪ কোটি ৩০ লাখ। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় পর্যটক আগমনে প্রবৃদ্ধি হয় ৭ শতাংশ, উত্তর-পূর্ব এশিয়ায় ৬ শতাংশ এবং দক্ষিণ এশিয়ায় পর্যটক আগমনে প্রবৃদ্ধি হয় ৫ শতাংশ। ওশেনিয়া অঞ্চলে প্রবৃদ্ধি হয় ৩ শতাংশ।</p> <p>ইউএনডাব্লিউটিও আশা করছে, ২০১৯ সালে আন্তর্জাতিক পর্যটক গমনে প্রবৃদ্ধি হবে ৩ থেকে ৪ শতাংশ। জ্বালানি তেলের দাম ভারসাম্যপূর্ণ থাকায় বিমান টিকিটের দামও যাত্রীদের নাগালে থাকবে। ফলে ধনীদের পাশাপাশি মধ্যবিত্ত শ্রেণির অনেকেই ভ্রমণে আগ্রহী হবে। তবে ব্রেক্সিট অনিশ্চয়তা, বাণিজ্য যুদ্ধ ও ভূরাজনৈতিক উত্তেজনায় অনেকেই হয়তোবা ভ্রমণ না করে অপেক্ষা করতে পারেন।</p>