<p>একটি বাণিজ্য যুদ্ধ বিশ্ব প্রবৃদ্ধিতে মারাত্মক প্রভাব ফেলবে বলে মনে করেন বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডাব্লিউটিও) মহাপরিচালক রবার্তো আজেভেদো। তিনি বলেন, এ যুদ্ধে কেউ বিজয়ী হবে না। বার্লিং ইন্ডাস্ট্রি ইভেন্টে দেওয়া এক বক্তৃতায় চীন-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য যুদ্ধ প্রসঙ্গে আজেভেদো আরো বলেন, সতর্ক বাতি জ্বলছে। ক্রমবর্ধমান এ বাণিজ্য উদ্বেগ স্থিতিশীলতার জন্য বড় ধরনের হুমকি হয়ে উঠতে পারে। একই সঙ্গে কর্মসংস্থান এবং প্রবৃদ্ধিও ব্যাহত করবে এ উদ্বেগ।</p> <p>তিনি বলেন, পূর্ণমাত্রায় একটি বাণিজ্য যুদ্ধ আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সহযোগিতার যে নীতি রয়েছে তা ভেঙে ফেলবে। এতে বিশ্ববাণিজ্য প্রায় ৭০ শতাংশ কমে যাবে এবং জিডিপি প্রবৃদ্ধি কমবে ১.৯ শতাংশ। এ যুদ্ধে কোনো বিজয়ী নেই। বরং সব অঞ্চলই মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এমনকি ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) প্রায় ১.৭ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি হারিয়ে ফেলবে। ফলে এটি আমরা কোনোভাবেই হতে দিতে পারি না।</p> <p>আজেভেদো বেশ কিছু সংস্কার প্রস্তাব উল্লেখ করে বলেন, এগুলো বাণিজ্য বিকৃত করার সুযোগ বন্ধ করেছে। ডাব্লিউটিওর বর্তমান পদ্ধতি বাণিজ্য বিরোধ দূর করার জন্য। যেসব সংস্কারে আমরা গুরুত্ব দিয়েছি এসব ব্যাপারে সদস্য দেশগুলোকে একমত হতে হবে।</p> <p>এদিকে উন্নত দেশগুলোর সংগঠন অর্গানাইজেশন ফর ইকোনমিক কো-অপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (ওইসিডি) এক প্রতিবেদনে বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সুরক্ষাবাদী নীতিতে বিশ্ববাণিজ্য ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ফলে এ বছর বিশ্ব প্রবৃদ্ধি মন্থর হয়ে পড়বে।</p> <p>বলা হয়, ২০১৮ সালের প্রথমভাগে বিশ্ব প্রবৃদ্ধি প্রায় ৩.৭৫ শতাংশে সুসংহত হলেও মনে হচ্ছে এর চেয়ে আর বাড়বে না। আগামী বছরও এ প্রবৃদ্ধি থাকবে। ‘বিশ্ব অর্থনীতিতে বড় অনিশ্চয়তার চাপ’ শীর্ষক এ প্রতিবেদনে ওইসিডি জানায়, আশা করা যায় ২০১৮ ও ২০১৯ সালে বিশ্ব প্রবৃদ্ধি হবে ৩.৭ শতাংশ, যা সংস্থার মে মাসের পূর্বাভাস থেকে যথাক্রমে ০.১ ও ০.২ পয়েন্ট কম।</p> <p>সংস্থার মতে বিশ্ব প্রবৃদ্ধি কমার অন্যতম কারণ বাণিজ্যের গতি হ্রাস পেয়েছে। ২০১৭ সালে বিশ্ববাণিজ্যে প্রবৃদ্ধি ৫ শতাংশ এলেও এ বছরের প্রথম ভাগে হয়েছে প্রায় ৩ শতাংশ। কমার কারণ ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমেরিকা ফার্স্ট নীতি। এ নীতি অনুসরণ করতে গিয়ে ট্রাম্প দ্বিতীয় বৃহৎ অর্থনৈতিক দেশ চীন ও ইউরোপীয় অংশীদারদের সঙ্গে বাণিজ্য দ্বন্দ্বে অবতীর্ণ হন। রয়টার্স, এএফপি। </p>