<p>ফেনীতে নির্মাণাধীন পানি নিয়ন্ত্রণ বাঁধ তৈরিতে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে নির্মাণ কাজের স্থায়িত্ব নিয়ে আশঙ্কাসহ জনমনে ক্ষোভ ও অসন্তোষ বিরাজ করছে।</p> <p>সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, এডিবির অর্থায়নে ১১ কোটি টাকা ব্যয়ে পানি নিয়ন্ত্রণ অবকাঠামো প্রকল্পের আওতায় সদর উপজেলার কালিদহ ইউনিয়নের ভালুকিয়া, বালিগাঁও ইউনিয়নের মধুয়াই, সোনাগাজীর মদিনা বাজার ও ওলামা বাজার স্লুইচগেট এলাকা এবং ফুলগাজীর দৌলতপুর এলাকায় দুটিসহ ৭টি পানি নিয়ন্ত্রণ বাঁধ তৈরির কাজ চলছে।</p> <p>এর মধ্যে দৌলতপুরের দুটি ছাড়া বাকি ৫টির কাজ চলমান। যৌথভাবে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাজ করছে ডন করপোরেশন ও নাহিয়ান ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যান্ড বিল্ডার্স। উল্লেখিত দুটি প্রতিষ্ঠান স্থানীয় আবির নামের একজনকে নির্মাণ কাজের দায়িত্ব দেয়। ২০১৭ সালের ১৪ জুন থেকে ২০১৯ সালের ১৩ মের মধ্যে কাজ শেষ করতে কার্যাদেশ দেওয়া হয়।</p> <p>সম্প্রতি সরেজমিন জানা গেছে, ভালুকিয়া এমদাদুল উলুম মাদরাসা সংলগ্ন কালিদাস পাহালিয়া নদীর শাখায় নির্মাণাধীন পানি নিয়ন্ত্রন বাঁধ তৈরিতে ৭৬ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। স্থানীয়রা কাজের শুরুতেই অভিযোগ তুলেছেন। এলাকাবাসীর অভিযোগ, নির্মাণ কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে মানহীন পাথর, বালু ও খোয়া। একইসঙ্গে ব্যবহার হচ্ছে ছোট সাইজের রড ও নিম্নমানের সিমেন্ট। এসব ব্যাপারে এলাকাবাসী পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছেন।</p> <p>নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি জানান, এখানে প্রভাবশালী ব্যক্তিরা কাজ করছেন। তারা যেভাবে কাজ করবেন সেটাই মেনে নিতে হবে। কারও কিছু বলার নেই।</p> <p>ঘটনাস্থলে গিয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাউকে না পাওয়ায় বক্তব্য জানা যায়নি। পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানায়, জোয়ারের পানিতে ফসলি জমি প্লাবিত না হওয়া, নদীর পানি ধরে রাখা ও পানি নিষ্কাশন করতেই এসব বাঁধ তৈরি করা হচ্ছে।</p> <p>কাজের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রকৌশলী জালাল আহম্মদ জানান, অভিযোগটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দেওয়া হবে।</p> <p>ফেনীস্থ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. কোহিনুর আলম জানান, তিনি বিষয়টি জেনেছেন। সরেজমিন পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীকে নির্দেশ দিয়েছেন। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।</p>