(কংগ্রেস আমলে বহু ভালোবাসাবাসি হলো আমার ও মাধবীর : উত্পলকুমার বসু)
আমাদের সংবিধানের পঠনীয় অক্ষর আর বিধান
কখনো সাজানোসম্মতির ‘হাত তুলুন’ হাতে
মল্লিকা ও আমার ভালোবাসাকে
নতুন স্বপ্ন দেখাবে বলে কাটাছেঁড়া করে।
ক্ষরণেও বেড়ে যায় ভালোবাসার বকুলবীথিকা মায়া।
আমরা দুজন একাত্তরের আলোকস্তম্ভ দেখার পর
আয়নার সরোবর মুখের সামনে ধরতেই
হননের গভীর পাতাল থেকে
সূর্যের দিকে গ্রহণ ছুটে আসা দেখি।
উর্দির কৌশলে স্বপ্নের বানানভেদ হলো।
ভালোবাসার পাখি আতঙ্কের নীলে ওড়ে,
‘পাখি সঙ্গে নিয়ে চলো।’
আকাশের শাখায় শাখায়
লেফট-রাইট করতে করতে ‘বিসমিল্লাহ’ বলি।
জোসনা রাতে মল্লিকা আর আমি
জেনারেলের পবিত্র ফুলের চরিত্র-গন্ধে ঘুমাতে পারিনি।
আমাদের ভালোবাসার প্রাঙ্গণে নক্ষত্রের দেয়াল ছুঁয়ে
আজকাল আসছে কিছু গণতান্ত্রিক হাওয়া। দুলছে তমালপাতা।
আশারূপিত দুটি মুখ স্পর্শের মোহনায় রেখে সেলফি তুলছি।
বন্ধু ও শত্রুদের পোস্ট করছি।
শ্বাসমূলীয় প্রেমের অহংকার দেখে
ধর্মান্ধরা দ্রুত ডিলিট করে দিচ্ছে।
সিলমোহরের রাজনীতি
আর লুণ্ঠনের বহুবর্ণ আতশবাজির মধ্যে
মল্লিকা আর আমি গোলাপের বিশেষ যত্ন শিখি।
আমাদের শ্রমিকতা চায়
ভালোবাসার আমল পাবে আকাশের আয়ু।
তৃণের জগতে আমরা প্রথম লিখছি ভালোবাসার সংবিধান।
মন্তব্য